রাবির ভর্তি পরিক্ষার সময়সূচি প্রকাশ
বাংলাদেশ এবার প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারবে না
ভালুকা বয়েজ ক্লাব ফুটবল টুর্ণামেন্টে
ভালুকা মাস্টার হাসপাতালের উদ্যোগে ফ্রি ডেন্টাল ক্যাম্প
ভালুকা আসনের সম্ভাব্য মনোনয়ন প্রত্যাশী যারা
গৌরীপুরে পৌর মেয়রের বর্ণিল শোডাউন
ভালুকায় প্রেমের টানে বাড়ি ছেড়ে লাশ হলেন শিমু
ফেসবুকে আমার ফলোয়ারদের মধ্যে বাংলাদেশিই বেশি: আতিফ
প্রকাশকাল : ২৩/২/২০১৬ ৮:১০:০০ | প্রকাশক : মোঃ তাজমুল হক সম্পাদক ভালুকার কন্ঠ | পাঠক সংখ্যা : 1247 |
স্যার ৮০ হাজার টাকা পাঠান, নইলে ওরে মেরে ফেলবো
যশোর: স্যার আমিই ওরে অপহরণ করছি, ও আমার কাছেই আছে। তবে অতো কথা কইয়ে লাভ নেই। তাড়াতাড়ি ৮০ হাজার টাকা পাঠান, নইলে ওই ছেলেরে মেরে ফেলবো। এতে যদি আমার জেলও হয় তাও খাটবো। মুক্তিপণের দাবিতে স্ত্রীর প্রথম পক্ষের ছেলেকে অপহরণ করে যশোরের সার্কেল এসপি শেখ বিল্লাল হোসেনকে মোবাইল ফোনে কথাগুলো বলছিলেন মাসুদ নামে এক ব্যক্তি।মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় যশোরের সার্কেল এসপি শেখ বিল্লাল হোসেন এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, অপহরণকারীর কথাবার্তা শুনে আমরা অবাক হয়েছি। এরপর অপহরণকারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা থেকে ছেলেটিকে উদ্ধার করেছি। পরে মঙ্গলবার রাতে তাকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়েছে। অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন জানান, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলসি গ্রামের মৃত নওয়াব আলীর মেয়ে শাহনাজ বেগমের (৩০) সঙ্গে বছর দশেক আগে মাগুরার মোহাম্মদপুর পৌর এলাকার আব্দুল মজিদের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে শান্ত (৮) নামে একটি ছেলে রয়েছে। বছর দুয়েক আগে আব্দুল মজিদ ও শাহনাজ বেগমের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। পরে যশোর সদর উপজেলার নওদাগা গ্রামের শামছুল আলমের ছেলে মাসুদ (৩২) ও শাহনাজের বিয়ে হয়। বনিবনা না হওয়ায় মাস দু’য়েক আগে শাহনাজ তার প্রথম পক্ষের ছেলে শান্তকে নিয়ে নওয়াপাড়ার নূরবাগ রেলবস্তিতে বসবাস শুরু করেন।
সেখানে শ্রমিক হিসেবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন তিনি। এরই মধ্যে শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বর্তমান স্বামী মাসুদ তার নওয়াপাড়ার বাসায় যান। এসময় শাহনাজ বাসায় ছিলেন না। এ সুযোগে শান্তকে অপহরণ করেন মাসুদ। পরে মাসুদ তার স্ত্রীকে ফোন করে ৮০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এমনকি টাকা না দিলে ছেলেকে মেরে ফেলা হবে বলেও হুমকি দেন তিনি। ওই দিনই অভয়নগর থানায় মামলা করেন শাহনাজ।
ওসি আরো জানান, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়। পরে সার্কেল এসপি নিজেই অপহরণকারীর মোবাইল ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে শিশুটিকে উদ্ধার করেন। পরে মঙ্গলবার রাতে উদ্ধার হওয়া শিশুটিকে তার মায়ের কোলে তুলে দেওয়া হয়।